মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা জোবায়দা গুলশান আরার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) অভিযোগকারী ঐ অফিসের ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট মনিরা সুলতানার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এর আগে গত মঙ্গলবার (২০ মে) তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর সুনির্দিষ্ট এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ ও প্রতিবন্ধী অফিস স্টাফদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা জুবায়দা গুলশান আরা ঠিকমতো অফিস করেন না। দুপুর ১২টার দিকে এলেও আবার চারটায় চলে যান। গত ৮ বছর যাবৎ একই স্টেশনে চাকরির সুবাদে তার স্বেচ্ছাচারিতার মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তিনি অফিস করেন নিজের ইচ্ছেমতো।
এছাড়া অফিস স্টাফদের দিয়ে তার ব্যক্তিগত কাজ করানোর পাশাপাশি অফিস প্রধান হওয়ার কারণে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের কথাও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগকারী ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট মনিরা সুলতানা জানান, জুবায়দা গুলশান আরার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় পুরোনো দুই রোগীর নাম ব্যবহার করে মন্ত্রণালয় ও হেড অফিসে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঐ অভিযোগের বিষয়ে রোগীরা কিছুই জানেন না। আর আমিও তাদের চিনি না। পরে বিষয়টি প্রমাণিত হয়, জুবায়দা গুলশান আরা নিজেই রোগী সেজে আমাকে হয়রানি করতে ঐ অভিযোগ করেন।
উপজেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা জুবায়দা গুলশান আরা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছি। অভিযোগটি মনগড়া ও একজন মানুষকে হেয় করার জন্য। ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট মনিরা সুলতানার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, আমি ঢাকায় ট্রেনিংয়ে আছি। অভিযোগের কপি দেখে কমেন্টস করতে পারব।