মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • আমাদের সম্পর্কে
  • বিজ্ঞাপন
  • গোপনীয়তার নীতি
  • যোগাযোগ
  • লগইন
Muldhara - Bangla Daily
Advertisement
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্য খেলা
  • বিনোদন
  • জবস
  • বাণিজ্য
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • শিক্ষা
    • স্বাস্থ্য
কোন নিউজ পাওয়া যায়নি
সমস্ত নিউজ দেখুন
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্য খেলা
  • বিনোদন
  • জবস
  • বাণিজ্য
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • শিক্ষা
    • স্বাস্থ্য
কোন নিউজ পাওয়া যায়নি
সমস্ত নিউজ দেখুন
Muldhara - Bangla Daily
কোন নিউজ পাওয়া যায়নি
সমস্ত নিউজ দেখুন
প্রচ্ছদ সারাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় থানা দখলের লড়াইয়ে যা ঘটেছিল সেদিন

স্মরণে মহান মুক্তিযুদ্ধ

Muldhara পোস্ট করেছেন Muldhara
নভেম্বর ১২, ২০২৪
মধ্যে সারাদেশ
0
চুয়াডাঙ্গায় থানা দখলের লড়াইয়ে যা ঘটেছিল সেদিন

মুক্তিযুদ্ধকালীন আলমডাঙ্গা থানা গেরিলা কমান্ডার মো. আব্দুল হান্নান

0
শেয়ার
40
দেখেছেন
Share on FacebookShare on Twitter

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা শহরে মুক্তিযোদ্ধা এবং পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের তাবেদার বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। আমলডাঙ্গা শহরে কিছু চিহ্নিত শান্তি কমিটির সদস্যের অত্যাচারে আলমডাঙ্গা এলাকার জনসাধারণ ও মুক্তিযোদ্ধারা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। মুক্তিযোদ্ধারা আলমডাঙ্গা শহরের এসব শান্তি কমিটির সদস্যদের পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামাত হতে ধরার পরিকল্পনা করেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নভেম্বর মাসে ঈদুল ফিতরের নামাজ হয়। ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণের প্রস্তুতি শুরু করেন। আলমডাঙ্গা থানার মুজিব বাহিনীর কমান্ডার কাজী কামাল, মিরপুর থানার মুজিব বাহিনীর কমান্ডার মারফত আলী ও হরিকুন্ডু থানার শ্রীপুরের কমান্ডার আবদার রহমান জোয়ার্দারকে এই পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির বিষয়ে জানিয়ে দেন আলমডাঙ্গার গেরিলা কমান্ডার মোঃ আব্দুল হান্নান (আমি)। আলমডাঙ্গা শহরের কাছাকাছি স্থানে থাকতে অনুরোধ করেন তাদের। ফলে আলমডাঙ্গা থানার মুজিব বাহিনীর কমান্ডার কাজী কামাল মিরপুর থানার মুজিব বাহিনীর কমান্ডার মারফত আলী ও কমান্ডার আবদার রহমান জোয়ার্দার তাদের দলের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আলমডাঙ্গা শহরের কাছাকাছি স্থানে থাকতে শুরু করেন। আর আলমডাঙ্গা থানা গেরিলা কমান্ডার আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার দলটি তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।

আলমডাঙ্গা ষ্টেশনপাড়ার মোল্লা আবুল হোসেন নান্নু ও খায়রুল আনামের নেতৃত্বে একটি দল আলমডাঙ্গা শহরের দক্ষিণে ডামস গ্রামে অবস্থান নেয়। এ দলে ছিলেন ২২ জন বাছাই করা সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। তাদের ওপর ‘রেকি’ করার দায়িত্ব ছিল। দ্বিতীয় দলটি আলমডাঙ্গা ষ্টেশনপাড়ার মোল্লা আব্দুর রশিদ ও আলমডাঙ্গা থানার টেকপাড়া পাঁচলিয়া গ্রামের মোঃ জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ১১ নভেম্বর ১৯৭১ আলমডাঙ্গা শহরের দক্ষিণে বেলগাছী গ্রামে অবস্থান নেয়। আর তৃতীয় দলটি থানা কমান্ডার আব্দুল হান্নান ও শফিউর রহমান সুলতান জোয়ার্দারের নেতৃত্বে ১১ নভেম্বর ১৯৭১ আলমডাঙ্গা শহরের পূর্ব দিকে বকশীপুর গ্রামে অবস্থান নেয়।

১২ নভেম্বর ভোরে হঠাৎ করেই আলমডাঙ্গা শহরে গুলি বিনিময় শুরু হয়ে যায়! গুলির শব্দ আলমডাঙ্গা শহরের আশপাশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। আব্দুল হান্নান বকশীপুর গ্রাম হতে এবং মোল্লা আব্দুর রশিদ ও মোঃ জামাল উদ্দিন বেলগাছী গ্রাম হতে গুলির শব্দ শুনতে পান। রশিদ ও জামাল উভয়েই তাদের দলের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে আলমডাঙ্গা শহরের কাছে উপস্থিত হন। সংবাদ নিয়ে জানতে পারেন যে, রেকি করার সময় আলমডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ পূর্ব কোণায় আনন্দধাম ব্রীজের কাছে রাজাকাররা মোল্লা আবুল হোসেন ও খায়রুল আনামের দলের মুক্তিযোদ্ধদের দেখতে পেয়ে প্রথমে গুলিবর্ষণ শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধরাও পালটা জবাব দেন। এভাবে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী, নির্ধারিত তারিখ অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের নামাজের পূর্বে সংঘর্ষ হওয়ার কথা ছিল না। কারণ, তাতে করে আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিল।

যাহোক, অপ্রত্যাশিত হলেও ঘটনাটি ঘটে যায়। আলমডাঙ্গা এলাকায় স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যদিও মুক্তিযোদ্ধাদের তুলনায় রাজাকারদের শক্তি ও সাহস নগণ্য ছিল, কিন্তু রাজাকারের গুলির জবাব না দিয়ে এড়িয়ে গেলে তা ‘পালিয়ে যাওয়ার’ মতো মনে হতো! এতে এলাকার জনমনে মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি ও সাহসের বিষয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হতে পারত। তাই তারা সবাই মিলে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে দেয়।

গুলির শব্দ শুনে মুজিব বাহিনীর কমান্ডার কাজী কামাল, মারফত আলী ও কমান্ডার আবদার রহমান জোয়ার্দার দলের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধে যোগ দেন। আরও বেশ কয়েকটি ছোট ছোট মুক্তিযোদ্ধার দলও এদিন আলমডাঙ্গা শহরের যুদ্ধে এসে যোগ দেয়। আনুমানিক ৫০০ মুক্তিযোদ্ধা সকাল ১০টায় আলমডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত পাকিস্তানি সৈন্য, রাজাকার ও মিলিশিয়া ক্যাম্পে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেন। দুপুর ১২টার মধ্যে আলমডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন এলাকা মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে চলে আসে। কিন্তু তখনও আলমডাঙ্গা থানা মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসেনি।

এদিন ছিল শুক্রবার। দুপুর সাড়ে ১২ টায় জুমার নামাজের আযান শুরু হয়। আযানের ধ্বনি শুনে মুক্তিযোদ্ধরা গুলিবর্ষণ বন্ধ করে দেন। সকালের যুদ্ধে কমান্ডার কাজী কামাল ও মারফত আলী আলমডাঙ্গা শহরের উত্তরে কালীদাসপুর গ্রামের কাছে রেলওয়ে ব্রীজে স্থাপিত পাকিস্তানি সৈন্যের ক্যাম্প আক্রমণে নেতৃত্ব দেন। আবদার রহমান জোয়ার্দারের দল আলমডাঙ্গার সাহা পট্টিতে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ আক্রমণে নেতৃত্ব দেয়। চুয়াডাঙ্গার দিক হতে আগত পাকিস্তানি সৈন্যের গতিরোধের উদ্দেশ্যে মোল্লা আবুল হোসেন নান্নুর নেতৃত্বে এবং আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুর গ্রামের লুৎফর রহমান, নুর মোহাম্মদ ও অন্যান্য স্থানের বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী দল বন্ডবিল গ্রামের রেল গেটের কাছে অবস্থান করতে থাকে। গোবিন্দপুর গ্রামের খন্দকার আশরাফ আলী আশু এবং নওদা দুর্গাপুর গ্রামের আবদুল লতিফের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ছোট দল আলমডাঙ্গা রেল ষ্ট্রেশন আক্রমণ করে। কমান্ডার আব্দুল হান্নানের দলটি প্রথমে পার-আলমডাঙ্গার দিক হতে চারতলা বিল্ডিংয়ে স্থাপিত রাজাকার ক্যাম্প এবং এরপর আলমডাঙ্গা কলেজের উত্তর দিকে দিয়ে আন্দিয়া বাবুর বাড়িতে স্থাপিত রাজাকার ও মিলিশিয়া পুলিশের ক্যাম্প আক্রমণ করে। মোল্লা আব্দুর রশিদ ও জামাল উদ্দিনের দলটি প্রথমে আনন্দধাম ক্যানেলের ব্রীজে স্থাপিত রাজাকার ক্যাম্প এবং পরে এরশাদপুর গ্রামের মধ্যে দিয়ে আলমডাঙ্গা বাজারে মসজিদের কাছে প্রবেশ করে।

এদিন দুপুর ১২ টা পর্যন্ত টেলিফোন এক্সচেঞ্চের কাছে যুদ্ধে আবদার রহমান জোয়ার্দারের দলের মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী শহীদ হন। এ সময়ে আলমডাঙ্গা শহর শত্রমুক্ত মনে করে মুক্তিযোদ্ধা খন্দাকার আশরাফ আলী আশু আলমডাঙ্গা রেল ষ্টেশনের কাছ থেকে মাঠের মধ্যে দিয়ে গোবিন্দপুর গ্রামে মেইন রাস্তায় আসেন। সেখান থেকে মেইন রাস্তা ধরে আলমডাঙ্গা থানার দিকে আসার পথে ত্রিমোহিনীর কাছে ডাকবাংলার সম্মুখে রাজাকারের গুলিতে শহীদ হন। এর পরপরই রাজাকারের গুলিতে ডাঃ বজলুল হক ত্রিমৌহিনীর কাছে তার নিজ বাড়িতে শহীদ হন।

দুপুর ২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধারা আলমডাঙ্গা থানা দখলের জন্য সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করেন। কমান্ডার জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল আলমডাঙ্গা থানার দক্ষিণ দিক দিয়ে, গার্লস হাই স্কুলের মধ্য হতে আক্রমণ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের অন্য একটি দল থানা কমান্ডার আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা থানার পূর্ব দক্ষিণ দিক হতে আক্রমণ শুরু করে। লাইট মেশিনগান, রাইফেল, এসএলআর, এসএমজির গুলি ও হ্যান্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণের বিকট শব্দে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। কমান্ডার আব্দুল হান্নান তখন থানার পূর্ব দক্ষিণ কোণায় অবস্থিত দিদার খানের বাড়ির ঘরে মধ্য হতে জানালার ফাঁক দিয়ে লাইট মেশিনগানের গুলিবর্ষণ করছিলেন। আর তার পাশে দাঁড়িয়ে একই জানালা দিয়ে গোলাম মোস্তফা দুলাল এসএলআর-এর গুলিবর্ষণ করছিলেন।

এমন সময় হঠাৎ করে থানা হতে একটি গুলি এসে প্রথমে টেলিফোন পোষ্টে লাগে। টেলিফোন পোষ্ট ছিদ্র হয়ে গোলাম মোস্তফা দুলালের এসএলআর-এর ম্যাগাজিনে লাগে। সেখান থেকে তার হাতে লাগে, একই গুলি কমান্ডার আব্দুল হান্নানের পেটের পাশে স্পর্শ করে! পিছনে গুলির বস্তা নিয়ে দাঁড়ানো কুরবান আলীর থোড়ায় লাগে। আহত গোলাম মোস্তফা দুলাল ও কুরবান আলীকে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

অন্য দিকে থানার দক্ষিণ পাশের গার্লস হাই স্কুলের মধ্যে কমান্ডার জামাল উদ্দিনের পায়ে গুলি লাগে, তিনি আহত হন। স্থানীয় প্রণিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা গাংনী থানার সহিদুল ইসলাম থানার মধ্যে ঢুকতে গিয়ে গর্তের মধ্যে পড়ে গিয়ে বুকে প্রচন্ড ব্যথা পান।

আলমডাঙ্গা থানাতে পাকা বাংকার থাকায় এবং থানার চারিদিক মজবুত করে ঘেরা থাকায় মুক্তিযোদ্ধরা আলমডাঙ্গা থানা দখলে ব্যর্থ হন। বিকেলে থানা কমান্ডার আব্দুল হান্নান তার দলের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আলমডাঙ্গা স্টেশন পাড়ায় সরকারি খাদ্য গুদামে হামলা চালান। সেখানে বেশ কিছু রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। রেল স্টেশনে গোবিন্দপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ জকু ও বড় বোয়ালিয়া গ্রামের রবিউল হকের কাছে ৮ জন রাজাকার অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে।

এদিকে আলমডাঙ্গা শহর শক্র মুক্ত মনে করে মোল্লা আবুল হোসেন নান্নু ও খায়রুল আনাম যখন তার দলের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে থানার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে পাডিয়া বাবুর ‘স’ মিল এলাকার দক্ষিণে বাউন্ডারী ওয়ালের বাইরের সাইড দিয়ে পূর্ব দিকে যাচ্ছিলেন, এমন সময় পাকিস্তানি সৈন্যের আকস্মিক গুলিতে মোল্লা আবুল হোসেন নান্নু ঘটনাস্থলেই শহীদ হন। তার সাথী-মুক্তিযোদ্ধারা কোনোক্রমে প্রাণে বেঁচে যান।

মোল্লা আবুল হোসেন নান্নুর কাছে একটি লাইট মেশিনগান ও মুক্তিযোদ্ধাদের বেশ কিছু টাকা ছিল, তা পাকিস্তানি সৈন্যের হস্তগত হয়। এরপর সন্ধ্যা পার হয়ে রাতের অন্ধকার নেমে আসায় এবং সারাদিন যুদ্ধে সব মুক্তিযোদ্ধা ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত থাকায় এদিন আর পালটা আক্রমণ করা সম্ভব হয়নি।

১৯৭১ সালের ১২ই নভেম্বর আলমডাঙ্গা শহরে ১২ ঘন্টাব্যাপী যুদ্ধে শতাধিক পাকিস্তানি সৈন্য, মিলিশিয়া পুলিশ , রাজাকার ও অবাংগালী নিহত হয়। বাকীদের মুক্তিযোদ্ধারা ছেড়ে দেন। এদিন যুদ্ধে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং আহত হন দুই জন । শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন—

এক. মোল্লা আবুল হোসেন নান্নু, পিতা: বাহার আলী মোল্লা, গ্রাম : আলমডাঙ্গা ষ্টেশন পাড়া, থানা: আলমডাঙ্গা, জেলা- চুয়াডাঙ্গা

দুই. খন্দকার আশরাফ আলী আশু, পিতা: খন্দকার শামসুল হক, গ্রাম: গোবিন্দপুর, থানা: আলমডাঙ্গা, জেলা: চুয়াডাঙ্গা

তিন. মোঃ আনসার আলী , পিতা: ইব্রাহীম মন্ডল, গ্রাম: দেওলী, থানা: দামুড়হুদা, জেলা: চুয়াডাঙ্গা।

আহত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন—

এক. মোঃ জামাল উদ্দিন, পিতা: নূর উদ্দিন, গ্রাম: টেকপাড়া পাচলিয়া, থানা: আলমডাঙ্গা, জেলা: চুয়াডাঙ্গা

দুই. গোলাম মোস্তফা দুলাল, পিতা: আবদুল গফুর সরদার, গ্রাম: আলমডাঙ্গা স্টেশন পাড়া, থানা: আলমডাঙ্গা, জেলা: চুয়াডাঙ্গা।

ডাঃ বজলুল হক সমাজসেবী ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের অধিকাংশ সময়ই আলমডাঙ্গা শহরে তিনি তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন। এদিন রাজাকারের গুলিতে তিনিও শহীদ হন। কুরবান আলীর বাড়ি আলমডাঙ্গা শহরের পাশ্ববর্তী গ্রাম এরশাদপুরে। আগে থেকে তার একটি চোখ নষ্ট ছিল। এদিন কমান্ডার আব্দুল হান্নানের লাইট মেশিনগানের গুলি বস্তায় করে বহন করার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কুরবান আলী এর আগে সক্রিয়ভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি বটে। তবে কুরবান আলী স্বাধীনতার সপক্ষের লোক ছিলেন। এদিন গোবিন্দপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সবেদ আলীরও বিশেষ ভূমিকা ছিল। হাফিজ আহমেদ হাফিজ নামে একজন মিলিশিয়া পুলিশ এদিন মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। হাফিজ আহমেদ পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে থেকে আলমডাঙ্গা এলাকায় স্বাধীনতার সপক্ষে যুদ্ধ করেন। হাফিজ আহমেদ পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার বাসিন্দা ছিলেন।

১৯৭১ সালের ১২ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা এক সর্বাত্মক লড়াই শুরু করেছিলেন আলমডাঙ্গার মাটিতে। ১৬ ডিসেম্বরের ‘চূড়ান্ত বিজয়’ অর্জনের আগ পর্যন্ত থেমে থেমে চলেছিল এই লড়াই।

লেখক : মো : আব্দুল হান্নান । যুদ্ধকালীন থানা গেরিলা কমান্ডার
ট্যাগস: গেরিলা কমান্ডারচুয়াডাঙ্গার মুক্তি সংগ্রামমহান মুক্তিযুদ্ধস্বাধীনতা যুদ্ধ
আগের নিউজ

চর দখল: ভাঙা-গড়ার খেলায় মানুষের হস্তক্ষেপ

পরের নিউজ

আসিফ নজরুল: ঢালাও গায়েবি মামলায় সরকার বিব্রত

Muldhara

Muldhara

পরের নিউজ
আসিফ নজরুল: ঢালাও গায়েবি মামলায় সরকার বিব্রত

আসিফ নজরুল: ঢালাও গায়েবি মামলায় সরকার বিব্রত

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • আলোচিত
  • কমেন্টস
  • সর্বশেষ
যশোরে দিনেদুপুরে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

যশোরে দিনেদুপুরে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
সিংগাইরে ‘মাটি ব্যবসায়ী’ চক্রের দৌরাত্ম্য

সিংগাইরে ‘মাটি ব্যবসায়ী’ চক্রের দৌরাত্ম্য

মে ২৩, ২০২৫
তরুণশক্তির নতুন রাজনৈতিক সূর্যোদয়

তরুণশক্তির নতুন রাজনৈতিক সূর্যোদয়

নভেম্বর ১২, ২০২৪
তথ্য সংকটে জর্জরিত ইবি ওয়েবসাইট

তথ্য সংকটে জর্জরিত ইবি ওয়েবসাইট

মার্চ ১৮, ২০২৫
ইতিহাস গড়তে ভোট দিচ্ছেন মার্কিনরা

ইতিহাস গড়তে ভোট দিচ্ছেন মার্কিনরা

0
পুলিশি অভিযানে গতি এসেছে

পুলিশি অভিযানে গতি এসেছে

0
জয়ের পথে ট্রাম্প!

জয়ের পথে ট্রাম্প!

0
জলবায়ু পরিবর্তন: ভবিষ্যৎ এবং করণীয়

জলবায়ু পরিবর্তন: ভবিষ্যৎ এবং করণীয়

0
ঈদ : মৈত্রির সমাজ গঠন করতে হবে

ঈদ : মৈত্রির সমাজ গঠন করতে হবে

জুন ৬, ২০২৫
নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা!

নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা!

জুন ৬, ২০২৫
নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

জুন ৫, ২০২৫
ভোটার হতে এসে দালালসহ রোহিঙ্গা আটক

ভোটার হতে এসে দালালসহ রোহিঙ্গা আটক

জুন ৩, ২০২৫

সাম্প্রতিক খবর

ঈদ : মৈত্রির সমাজ গঠন করতে হবে

ঈদ : মৈত্রির সমাজ গঠন করতে হবে

জুন ৬, ২০২৫
নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা!

নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা!

জুন ৬, ২০২৫
নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

জুন ৫, ২০২৫
ভোটার হতে এসে দালালসহ রোহিঙ্গা আটক

ভোটার হতে এসে দালালসহ রোহিঙ্গা আটক

জুন ৩, ২০২৫
Muldhara - Bangla Daily

Daily Muldhara - Reliable Source for News & Opinion.

আমাদের সাথে থাকুন

গুরুত্বপূর্ণ লিংকসমূহ

  • Uncategorized
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • উপসম্পাদকীয়
  • কৃষিজ
  • ক্রাইম
  • খেলাধুলা
  • জাতীয়
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • ধর্মকর্ম
  • পরিবেশ
  • পাঠকের অভিমত
  • প্রজন্মের চোখ
  • ফিচার
  • বাণিজ্য
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • মতামত
  • রাজনীতি
  • শিক্ষা
  • সংগঠন
  • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  • সম্পাদকীয়
  • সম্পাদকীয়
  • সর্বশেষ
  • সারাদেশ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্যাঙ্গন
  • স্বাস্থ্য

ঠিকানা

H-G/44, Block-G, Road: E/1, Eastern Housing, 2nd Phase, Rupnagar, Dhaka-1216, Bangladesh.

© 2024 দৈনিক মূলধারা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

  • আমাদের সম্পর্কে
  • বিজ্ঞাপন
  • গোপনীয়তার নীতি
  • যোগাযোগ

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
কোন নিউজ পাওয়া যায়নি
সমস্ত নিউজ দেখুন
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্য খেলা
  • বিনোদন
  • জবস
  • বাণিজ্য
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • শিক্ষা
    • স্বাস্থ্য

© 2024 দৈনিক মূলধারা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত