সিংগাইরসহ মানিকগঞ্জে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিচারের দাবিতে পালিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস। ৫ আগস্ট সকাল থেকেই নানা আয়োজনে দিনটি পালিত হয়।
সকাল ৯টায় মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়া ঘাটে শহীদ রফিকের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন এবং শহীদ রফিকের পিতা মো. রহিজ উদ্দিন। পরে শহীদ রফিকের কবরের সামনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এতে অংশ নেন মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহানুর ইসলামসহ জেলার সাংবাদিকবৃন্দ।
বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধাঞ্জলি :
পুষ্পস্তবক অর্পণে অংশ নেয় বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি মানিকগঞ্জ জেলা শাখা, টিআরইউ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষ।
উপস্থিত ছিলেন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির নির্বাহী প্রকৌশলী গিয়াস মাহমুদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খোরশেদ আলম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহারিয়ার আলম, শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন, বিএনপির জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সত্যেন কান্তি পন্ডিত ভজন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন, জামায়াতে ইসলামীর থানা আমির হাতেম আলী, টিআরইউ সেক্রেটারি বিএম খোরশেদ প্রমুখ।
শহীদ পরিবার সম্মিলন ও বিচার দাবির জোরালো দাবি :
বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে “জুলাই শহীদ পরিবার সম্মিলন” অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শহীদ রফিকের পিতা রহিজ উদ্দিন, শহীদ সায়েদ মাহমুদের পিতা বাহাদুর খান, শহীদ মহিউদ্দিনের মা তাসলিমা খাতুন, শহীদ আফিকুল ইসলামের ছোট ভাই সাদিকুল ইসলাম ও শহীদ সাফিক উদ্দিনের পিতা নাসির উদ্দিন।
তারা অবিলম্বে শহীদদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান। শহীদ রফিকের পিতা প্রশ্ন তোলেন— “হত্যাকারী পুলিশ সদস্যরা এখনও কেন গ্রেপ্তার হয়নি?”
উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও দোয়ার আয়োজন :
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আতিকুল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আলী, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, জেলা আমির হাফেজ মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম এবং জুলাই যোদ্ধা হাসনাহেনা।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের কবর জিয়ারত, দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
রাজনৈতিক দলের পৃথক কর্মসূচি :
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজ খান রিতার নেতৃত্বে সাটুরিয়া সহ বিভিন্ন স্থানে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এছাড়া সিংগাইরে উপজেলা বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজয় রেলি বের করা হয়।
এদিকে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে বিকেল ৩টায় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ ও পরে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়।