দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক মঞ্চে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক দীর্ঘকাল ধরে উত্তেজনা, প্রতিযোগিতা এবং অবিশ্বাসের এক জটিল সমীকরণ। এই দ্বন্দ্ব কেবল দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর প্রভাব পুরো অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও বাংলাদেশ এক জটিল ভারসাম্য রক্ষার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি—যেখানে ঐতিহাসিক স্মৃতি, সমসাময়িক বাস্তবতা এবং কৌশলগত ভবিষ্যতের মধ্যে সূক্ষ্ম সমন্বয় অপরিহার্য। ২০২৫ সালে এপ্রিল মাসে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যা বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে। এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি কীভাবে ঐতিহাসিক প্রভাব, আঞ্চলিক গতিশীলতা এবং বৈশ্বিক কৌশলের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করছে, তা বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত জরুরি।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট : বিভাজন থেকে মুক্তিযুদ্ধের পথচলা
১৯৪৭ সালের ধর্মভিত্তিক ভারত ভাগ দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতির গতিপথকে চিরতরে বদলে দেয়। এই বিভাজনের মাধ্যমে জন্ম নেয় ভারত ও পাকিস্তান—দুটি রাষ্ট্র, যাদের মধ্যে ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক দূরত্ব ছিল অপরিমেয়। পূর্ববঙ্গ, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে এক কৃত্রিম রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আবদ্ধ হয়। ভাষা, সংস্কৃতি এবং অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক বঞ্চনার ক্রমাগত অভিঘাত পূর্ববঙ্গের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ জমা করে, যার প্রকাশ ঘটে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে এবং পরিণতি পায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে।
মুক্তিযুদ্ধ ছিল কেবল সামরিক সংগ্রাম নয়; এটি ছিল সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব অর্জনের এক ঐতিহাসিক অভ্যুদয়। ভারতের কূটনৈতিক ও সামরিক সহায়তা এই সংগ্রামে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে, যা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে প্রাথমিক ঘনিষ্ঠতার ভিত্তি স্থাপন করে। বিপরীতে, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে গড়ে ওঠে গভীর অবিশ্বাস ও দূরত্ব। মুক্তিযুদ্ধের এই ঐতিহাসিক স্মৃতি আজও বাংলাদেশের জাতীয় চেতনা এবং পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনার অনুপস্থিতি বাংলাদেশের জনমনে এক গভীর ক্ষতের অনুভূতি জাগিয়ে রেখেছে, যা কূটনৈতিক সম্পর্কে একটি অদৃশ্য বাধা হিসেবে কাজ করে।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা : বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক প্রতিফলন
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বৈরিতা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যে এক স্থায়ী উত্তেজনার উৎস। কাশ্মীর ইস্যু, সীমান্ত সংঘর্ষ, এবং সন্ত্রাসবাদের পারস্পরিক অভিযোগ এই দ্বন্দ্বকে বারবার উত্তপ্ত করে তুলেছে। ২০২৫ সালে কাশ্মীরে একটি বড় ধরনের জঙ্গি হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠনকে সমর্থনের অভিযোগ তুলেছে, যা পাকিস্তান অস্বীকার করেছে। এই ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।বাংলাদেশ এই উত্তেজনার প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আস্থার ঘাটতি তৈরি করে। তাছাড়া সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন, মানবপাচার এবং অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের মতো ইস্যু ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে সূক্ষ্ম উত্তেজনা যোগ করে।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৈষম্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারত থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করলেও রপ্তানি করেছে মাত্র ২.৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। এই অসামঞ্জস্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার পথে অন্তরায়।অন্যদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সীমিত হলেও পাট, চা, এবং তৈরি পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা বাড়লে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ভারতের দৃষ্টিতে কূটনৈতিকভাবে সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও এই দ্বন্দ্বের প্রভাব লক্ষণীয়। পূর্ববর্তী ক্ষমতাসীন দলের ভারতঘনিষ্ঠতা বিরোধী শক্তির সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু হয়, আবার কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠী পাকিস্তানের প্রতি প্রতীকী আনুগত্য প্রকাশ করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চায়।
বর্তমান বাস্তবতা : বাংলাদেশের বহুমুখী কূটনৈতিক অভিমুখ
২০২৪ সালের রাজনৈতিক পুনর্গঠনের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি পরিমিত, ভারসাম্যপূর্ণ, এবং কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ঐতিহ্যগত মিত্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি একটি নতুন কূটনৈতিক বাস্তবতার দিকে ইঙ্গিত করে। পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর উচ্চপর্যায়ের সংলাপ এবং চীনের সঙ্গে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর আওতায় অবকাঠামো ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাংলাদেশের বহুমাত্রিক নীতির প্রতিফলন।
ভারতের সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প, মেট্রোরেল, এবং সীমান্ত সংযোগ উন্নয়নের মতো মেগা প্রকল্পে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের গঠনমূলক সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে। তবে, চীনের সঙ্গে গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সীমিত বাণিজ্যিক আলোচনা ভারতীয় কূটনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের এই কৌশল শুধু নিরপেক্ষতার প্রতিচ্ছবি নয়; বরং, এটি একটি আত্মনির্ভরশীল ও বহুমুখী পররাষ্ট্রনীতির দিকে অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, যেখানে প্রতিটি সম্পর্ক জাতীয় স্বার্থ ও আঞ্চলিক ভারসাম্যের নিরিখে মূল্যায়িত হয়।
আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূরাজনীতি : বাংলাদেশের কৌশলগত ক্রসরোড
বাংলাদেশ বর্তমানে এক জটিল ভূরাজনৈতিক ক্রসরোডে অবস্থান করছে, যেখানে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা এবং বৈশ্বিক শক্তির পুনর্বিন্যাস সমান্তরালে চলছে। একদিকে রয়েছে ভারতের নেতৃত্বাধীন QUAD এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, অন্যদিকে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC), BRI, এবং রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান ভূরাজনৈতিক সক্রিয়তা। এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ একটি ‘দ্বৈত ভারসাম্য কৌশল’ গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে দেশটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে, কিন্তু কারও প্রতি একক নির্ভরতায় আবদ্ধ হয় না। IORA, BIMSTEC, এবং SAARC-এর মতো আঞ্চলিক ফোরামে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ এর বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক সক্ষমতার প্রমাণ। কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘে নিরপেক্ষ অবস্থান এবং রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক কূটনীতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের কৌশল বাংলাদেশের পরিণত পররাষ্ট্রনীতির ইঙ্গিত দেয়। এই কৌশল শুধু প্রতিক্রিয়াশীল নয়; বরং, জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং আঞ্চলিক প্রভাব সম্প্রসারণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
ভবিষ্যতের পথ : কৌশলগত ভারসাম্য ও স্বনির্ভরতা
ভারত-পাকিস্তানের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো জাতীয় স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব, এবং কৌশলগত স্বনির্ভরতা রক্ষা করা। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হতে হবে বিচক্ষণ, বাস্তববাদী, এবং বহুমাত্রিক।
নিম্নলিখিত কৌশলগুলো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথকে শক্তিশালী করতে পারে —
বহুমুখী কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক : ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা থেকে বেরিয়ে জাপান, চীন, সৌদি আরব, তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এবং আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলা। এই বৈচিত্র্য একক নির্ভরতা কমিয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্বাধীনতা বাড়াবে।
অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও বাজার বৈচিত্র্য : তৈরি পোশাক, ওষুধ, এবং পাট শিল্পে বহুমুখী রপ্তানি বাজার গড়ে তোলা জরুরি। পূর্ব ইউরোপ, আফ্রিকা, এবং লাতিন আমেরিকার বাজারে প্রবেশ অর্থনৈতিক ঝুঁকি হ্রাস করবে। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য আনতে স্থানীয় শিল্পে রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা প্রয়োজন।
আঞ্চলিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবন : SAARC, BIMSTEC, এবং IORA-তে নেতৃত্বাধীন ভূমিকা গ্রহণ। সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং খাদ্য নিরাপত্তার মতো ইস্যুতে আঞ্চলিক সহযোগিতা ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রভাব কমাতে পারে।
কৌশলগত নিরপেক্ষতা ও ইস্যুভিত্তিক কূটনীতি : বিশ্ব রাজনীতিতে পক্ষ না নিয়ে ইস্যুভিত্তিক সহযোগিতা জোরদার করা। উদাহরণস্বরূপ, নিরাপত্তায় ভারত এবং অবকাঠামোতে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা বাংলাদেশের বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ।
তথ্যকূটনীতি ও জনমত ব্যবস্থাপনা : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যম, এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে তথ্যকূটনীতি শক্তিশালী করা। জনমনে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া যে, রাষ্ট্রের কৌশলগত সিদ্ধান্ত দূরদর্শী ও বাস্তবসম্মত।
প্রতিরক্ষা কূটনীতি ও নিরাপত্তা সক্ষমতা : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং প্রতিরক্ষা শিল্পে অংশগ্রহণ বাড়ানো। এটি বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি করবে।
রোহিঙ্গা সংকটের কৌশলগত ব্যবহার : রোহিঙ্গা সংকটকে মানবিক ও কৌশলগত ইস্যু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে চীন, ভারত এবং মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সমন্বিত চাপের মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ
দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব একটি অমীমাংসিত সমীকরণ, যার প্রভাব বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রের জন্য নিরন্তর চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। তবে, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বাংলাদেশ শিখেছে যে, পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে ঐতিহাসিক আবেগ বা অতীতের অভিজ্ঞতার চেয়ে জাতীয় স্বার্থ, অর্থনৈতিক সুযোগ, এবং ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা প্রাধান্য পায়। কাশ্মীর উত্তেজনা এই শিক্ষাকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।বাংলাদেশের সাফল্য নিহিত রয়েছে কৌশলগত ভারসাম্যের নীতিতে—যেখানে ভারতের সঙ্গে নিরাপত্তা ও অবকাঠামো সহযোগিতা, পাকিস্তানের সঙ্গে সীমিত কিন্তু প্রয়োজনীয় সংলাপ, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব, এবং পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে গণতান্ত্রিক সংযোগ একে অপরের পরিপূরক হয়ে ওঠে। রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার মতো ইস্যুতে আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মর্যাদা বৃদ্ধি করতে পারে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, নমনীয় কৌশল এবং দৃঢ় প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা যতই তীব্র হোক, বাংলাদেশকে অন্ধ পক্ষপাত বা অপ্রয়োজনীয় বিবাদের ফাঁদ এড়িয়ে আঞ্চলিক শান্তি, অর্থনৈতিক সংহতি, এবং বহুপাক্ষিক কূটনীতির মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল ও প্রভাবশালী ভূমিকা গড়ে তুলতে হবে।
লেখক : শিক্ষার্থী, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ