বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে ‘লেখক সম্মেলন ও সম্মাননা অনুষ্ঠান— ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খায়রুজ্জামান খান সানির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র–উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম ও টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।
এছাড়া প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করীম। আমন্ত্রিত অতিথিরা হলেন— বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয়, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপদেষ্টা আবু তালহা আকাশ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তুহিন বাবু ও মহিমা খাতুন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলন, ‘পাঠকের মৃত্যু ঘটে; কিন্তু লেখকের মৃত্যু ঘটে না। লেখা সমাজ ও ব্যক্তি স্বীকৃতিকে তুলে ধরে। জ্ঞান যা আমরা আজকে পেয়েছি, তা লেখার মাধ্যমে এসেছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানের মা বলি। জ্ঞান তৈরি করতে হলে লেখালেখি করতে হবে। শ্রেণিকক্ষে যে লেকচার দেয়া হয়, তাতে হয়তো আংশিক সেবা দেওয়া হয়। কিন্তু জ্ঞানের সাধনা ও সৃষ্টি করতে হলে লেখালেখি করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘লেখকের তিন ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার। যেমন—সৃষ্টিশীল, তথ্যমূলক ও গবেষণামূলক লেখা। আর সভ্যতার ইতিহাস যারা বিনির্মাণ করেছেন, তারা লেখকও বটে। পশ্চিম ইউরোপে যারা শিল্প ও সাহিত্যে বিপ্লব ঘটিয়েছে তারা প্রত্যেকেই লেখক।’
উল্লেখ্য, ‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম’। এই ধারাবাহিকতায় একই বছর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনের শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি তরুণদের লেখালেখি বিষয়ে নানা দিকনির্দেশনা এবং পত্রিকায় চিঠি, কলাম, ফিচার ইত্যাদি লেখা প্রকাশ করার জন্য কর্মশালার আয়োজন করে থাকে।