মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • আমাদের সম্পর্কে
  • বিজ্ঞাপন
  • গোপনীয়তার নীতি
  • যোগাযোগ
  • লগইন
Muldhara - Bangla Daily
Advertisement
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্য খেলা
  • বিনোদন
  • জবস
  • বাণিজ্য
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • শিক্ষা
    • স্বাস্থ্য
কোন নিউজ পাওয়া যায়নি
সমস্ত নিউজ দেখুন
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্য খেলা
  • বিনোদন
  • জবস
  • বাণিজ্য
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • শিক্ষা
    • স্বাস্থ্য
কোন নিউজ পাওয়া যায়নি
সমস্ত নিউজ দেখুন
Muldhara - Bangla Daily
কোন নিউজ পাওয়া যায়নি
সমস্ত নিউজ দেখুন
প্রচ্ছদ মতামত উপসম্পাদকীয়

স্বাগতম খ্রিস্টীয় নববর্ষ-২০২৫

ড. আবদুল আলীম তালুকদার

Muldhara পোস্ট করেছেন Muldhara
ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
মধ্যে উপসম্পাদকীয়
0
স্বাগতম খ্রিস্টীয় নববর্ষ-২০২৫

স্বাগতম খ্রিস্টীয় নববর্ষ-২০২৫

0
শেয়ার
8
দেখেছেন
Share on FacebookShare on Twitter

ফ্যাসিবাদের অর্গল ভেঙে পরিবতীর্ত নতুন বাংলাদেশে আবারও আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন বছর। পুরাতনকে পেছনে ফেলে নতুনকে স্বাগত জানানোর উৎসবকেই নববর্ষ হিসেবে পালন করা হয় সারা বিশ্বে। নতুনের প্রতি সবসময়ই সব মানুষেরই থাকে বিশেষ আগ্রহ ও উদ্দীপনা। কালের পরিক্রমায় নতুনের মধ্যেই নিহিত থাকে অমিত সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়ন করার সুযোগ করে দিতে আসে নতুন বছর। একটি জাতির সংস্কৃতি সেই জাতির নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠান, ধ্যান-ধারণা ইত্যাদি সামগ্রিক পরিচয় স্পষ্টভাবে ধারণ করে রাখে এবং তা বিশ্বদরবারে সেই জাতির আত্মপরিচয়কে উচ্চে তুলে ধরার কাজটিই করে থাকে। মূলত সংস্কৃতি হচ্ছে একটি জাতির দর্পণ আর সংস্কৃতির বহুবিধ উপাদানের মধ্যে নববর্ষও অন্যতম একটি। আমরা সাধারণত যাকে ইংরেজী সন বা খ্রিস্টাব্দ বলে থাকি তা আসলে প্রকৃতপক্ষে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। 

দেশ, জাতি ও সংস্কৃতিভেদে প্রত্যেকের আলাদা বর্ষপঞ্জি রয়েছে। তবে একমাত্র গ্রেগরিয়ান বা ইংরেজি ক্যালেন্ডার মেনেই চলে বিশ্ববাসীর প্রায় সব হিসাব-নিকাশ ও দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে উৎসবের আমেজে সাড়ম্বরে ১ জানুয়ারি নববর্ষ হিসাবে পালিত হয়ে থাকে। তবে বহুকাল থেকেই পৃথিবীর কিছু জাতি যেমন— মুসলিম, পারসিয়ান, চীনা, ইহুদি, আদিবাসী প্রভৃতির মধ্যে নিজ নিজ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নববর্ষ পালন করতেও দেখা যায়।

লেখক ড. আবদুল আলীম তালুকদার

মানুষ আদিকাল থেকেই কোনো না কোনোভাবে দিন-ক্ষণ, মাস-বছরের হিসাব রাখতে প্রয়াসী হয়েছে চাঁদ দেখে, নক্ষত্র দেখে, সূর্য দেখে অথবা রাত-দিনের আগমন-নির্গমন অবলোকন করে বা ঋতু পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা পর্যবেক্ষণ করে। সাধারণ কোনো বিশেষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিন গণনা, মাস গণনা, বছর গণনার রীতি কালক্রমে চালু হয়েছে। তিথি, নক্ষত্র বিশ্লেষণ করার রীতিও আবিষ্কার হয়েছে, উদ্ভাবিত হয়েছে রাশিচক্র। চাঁদের হিসাব অনুযায়ী যে বছর গণনার রীতি চালু হয় তা চান্দ্র সন নামে পরিচিতি লাভ করে। এই চান্দ্র সনে বছর হয় কমবেশি ৩৫৪ দিনে আর সুর্যের হিসাবে যে বছর গণনার রীতি চালু হয় তা সৌর সন নামে পরিচিত হয়। সৌর সনের বছর হয় সাধারণত ৩৬৫ দিনে।

ইতিহাসবেত্তাদের মতে, বিশ্বব্যাপী পালিত উৎসবগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন হিসেবে মনে করা হয় বর্ষবরণ উৎসবকে। খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দে মেসোপটেমিয় সভ্যতায় (যে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল সে সময়কার দজলা ও ফোরাত নদীর তীরে) প্রথম বর্ষবরণ উৎসব পালনের প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমান ইরাকের প্রাচীন নাম ছিল মেসোপটেমিয়া। এই মেসোপটেমিয়ান সভ্যতা আবার ৪টি পর্যায়ে বিভক্ত ছিল; আর তা হলো— সুমেরীয় সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, অ্যাসেরীয় সভ্যতা ও ক্যালডীয় সভ্যতা।

এদের মধ্যে বর্ষবরণ উৎসব পালন করা শুরু হয় ব্যাবিলনীয় সভ্যতায়। সে সময় বেশ জাঁকজমকের সঙ্গেই পালন করা হতো বর্ষবরণ উৎসব। তবে তা এখনকার মতো জানুয়ারির ১ তারিখে পালন করা হতো না বরং তা পালিত হতো বসন্তের প্রথম দিনে। কেননা, শীতের রুক্ষতা ঝেড়ে ফেলে প্রকৃতি আবার নতুন করে সাজতে শুরু করে বসন্তে। গাছে গাছে নতুন পাতা, বাহারি রঙের ফুল আর পাখিদের কল-কাকলিতে প্রাণ ফিরে পায় প্রকৃতি। প্রকৃতির এই নতুন করে জেগে ওঠাকেই নতুন বছরের শুরু হিসেবে পালন করতো ব্যাবিলনীয়ানরা।

অবশ্য তখন বছর গণনা করা হতো চাঁদের উপর নির্ভর করে। যেদিন বসন্তের প্রথম চাঁদ উঠতো, শুরু হতো নতুন বছর আর বর্ষবরণ উৎসব। চলতো টানা ১১ দিন। ব্যাবিলনীয় সভ্যতার পর জাঁকজমকভাবে বর্ষবরণ উৎসব পালন করতো রোমানরাও। তবে তাদের ছিল নিজস্ব ক্যালেন্ডার। যদিও সে ক্যালেন্ডারও রোমানরা তৈরী করেছিল চাঁদ দেখেই। আর সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তাদের নববর্ষ ছিলো মার্চের প্রথম দিন। প্রথম দিকে তাদের ক্যালেন্ডারে মাস ছিল ১০টি। ছিল না জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারি মাস। পরবর্তী কালে ৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমের সম্রাট নুমা পম্পিলিয়াস জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারিকে ক্যালেন্ডারে যোগ করেন।

এরপর রোমান রাজ এর ইচ্ছানুযায়ী বছরের প্রথম মাস মার্চ হতে জানুয়ারিতে পরিবর্তন করা হয়। তবে জানুয়ারির ১ তারিখকে নববর্ষ হিসেবে চালু করতে বেশ সময় লাগে। এটি প্রথম চালু হয় ১৫৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমে। তখন এটি অনিয়মিতভাবে পালিত হতো। কারণ তখনো বিভিন্ন স্থানে জনগণ মার্চের ১ তারিখকে নতুন বছরের প্রথম দিন হিসেবে ব্যবহার করতো। কিন্তু ৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমসম্রাট জুলিয়াস সিজার যখন সূর্যকেন্দ্রিক ‘জুলিয়ান ক্যালেন্ডার’ চালু করেন, তখন জানুয়ারির ১ তারিখকেই নববর্ষের প্রথম দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মাস থাকলেও রোমানদের ক্যালেন্ডারে ছিলো না কোনো তারিখ।

চাঁদের বিভিন্ন অবস্থা দিয়ে মাসের বিভিন্ন সময়কে চিহ্নিত করতো রোমানরা। চাঁদ উদয়ের সময়কে বলা হতো ক্যালেন্ডস, পুরো চাঁদকে তারা বলতো ইডেস, আর চাঁদের মাঝামাঝি অবস্থাকে বলা হতো নুনেস। পরবতীর্তে সম্রাট জুলিয়াস সিজার এই ক্যালেন্ডারের পরিবর্তন ঘটান। তিনি ক্যালেন্ডস, ইডেস, নুনেসের পরিবর্তে যোগ করেন দিন-তারিখ। চান্দ্রমাসের হিসেবে সে সময় বছরের মোট দিন দাঁড়ায় ৩৫৫। এভাবে বছর হিসাবের ফলে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখী হতে থাকে রোমের চাষীরা। সমস্যার সমাধানের জন্যে হোঞ্চাস হেডাস ফেব্রুয়ারি মাসের পর অতিরিক্ত আরও একটা মাস যুক্ত করেছিলেন ক্যালেন্ডারে। সমস্যা কমার বদলে আরো জটিল আকার ধারণ করেছিল সে সময়।

পরবর্তী সময়ে জুলিয়াস সিজার চান্দ্র হিসাবের বদলে সৌর মাসের ব্যবহার প্রবর্তন করেন। ফলে ৩৫৫ দিন থেকে বছর হয়ে গেলো ৩৬৫ দিনের। (তবে অনেকের মতে, তিনি সৌর হিসেবে ৩৬৫ দিনের নয়, বরং ৪৪৫ দিনের ক্যালেন্ডার বানিয়েছিলেন!) কথিত আছে যে, রোমান সম্রাট জুলিয়ান সিজার লিপইয়ার বছরেরও প্রচলন করেন। যদিও এ নিয়ে বিতর্কও আছে। এতকিছুর পরও সমস্যা ছিল জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে।

সেই সমস্যার সমাধান করেন অ্যালোসিয়াস লিলিয়াস নামের একজন ডাক্তার তিনি তৈরী করেছিলেন নতুন আরেকটি ক্যালেন্ডার। পরবর্তীতে যিশুখ্রিস্টের জন্মের পর তার জন্মের বছর গণনা করে ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে ভ্যাটিকানের পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি জ্যোতির্বিজ্ঞানীগণের পরামর্শক্রমে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারটির সংস্কার করে তার নামানুসারে প্রচলন করেন; যা বর্তমানে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার হিসেবেই পরিচিত। আর এটি বের করার পর এর সুবিধার কারণে আস্তে আস্তে সকল জাতিই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার শুরু করে। ফলে আগে যারা নিজস্ব ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বর্ষবরণ উৎসব পালন করতো, তারাও এখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জানুয়ারির ১ তারিখই নববর্ষ হিসেবে পালন করে। এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তারিখ লেখার শেষে যে এ.ডি লেখা হয় তা ল্যাটিন অ্যানো ডোমিনি এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই আ্যনো ডোমিনির অর্থ আমাদের প্রভুর বছর। ডাইওনিসিয়াম একমিগুয়াস নামক এক খ্রিস্টান পাদরী জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের ৫৩২ অব্দে যিশুখ্রিস্টের জন্মবছর থেকে হিসাব করে এই খ্রিস্টাব্দ লিখনরীতি চালু করেন।

ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, আধুনিক বিশ্বে পহেলা জানুয়ারিকে নববর্ষ হিসেবে প্রচলন করার ব্যাপারে ‘রিপাবলিক অব ভেনিস’(দেশটি ১৭৯৭ সালে বিলুপ্ত হয়) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ তারা ১৫২২ সাল হতে এ দিনকে বছরের প্রথম দিন হিসেবে গণনা করতে শুরু করে। পরবতীর্তে যে সকল দেশ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকে সিভিল ক্যালেন্ডার হিসেবে গ্রহণ করেছে, তারা সকলেই পহেলা জানুয়ারি তারিখেই ইংরেজী নববর্ষ পালন করে থাকে; যেমন ১৫৫৬ সাল থেকে স্পেন, পতুর্গাল; ১৫৫৯ থেকে প্রম্নশিয়া, সুইডেন; ১৫৬৪ সাল থেকে ফ্রান্স; ১৬০০ সাল থেকে স্কটল্যান্ড, ১৭৫১ সাল থেকে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং বৃটিশ কলোনিগুলো নববর্ষের রীতি অনুসরণ করতে শুরু করে। আর এই ক্যালেন্ডার আমাদের দেশে নিয়ে আসে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে। ১৭০০ সাল হতে রাশিয়া এই রীতি অনুসরণ করতে শুরু করে। 

যেহেতু প্রাচীন রোমানদের হাতেই এই ক্যালেন্ডারের সৃষ্টি আর তাই ইংরেজি বছরের বারোটি মাসের বেশির ভাগই নামকরণ করা হয়েছে রোমান দেবতা বা সম্রাটের নামানুসারে। যেমন— জানুয়ারি রোমান দেবতা জানো’স এর নামানুসারে, ফেব্রুয়ারি ল্যাটিন শব্দ ফেব্রুয়া থেকে, মার্চ রোমানদের যুদ্ধ দেবতা মার্স থেকে, এপ্রিল ল্যাটিন শব্দ এপ্রিলিস থেকে, মে বসন্তের দেবী মায়া’স এর নামানুসারে, জুন বিবাহ এবং নারী কল্যাণের দেবী জুনো’র নামানুসারে, জুলাই রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের নামানুসারে, আগস্ট জুলিয়াস সিজারের পুত্র অগাস্টাস সিজারের নামানুসারে, সেপ্টেম্বর ল্যাটিন সপ্তম সংখ্যা সেপ্টেম এর নামানুসারে, অক্টোবর ল্যাটিন অষ্টম সংখ্যা অক্টো-এর নামানুসারে, নভেম্বর ল্যাটিন নবম সংখ্যা নভেম এর নামানুসারে এবং ডিসেম্বর ল্যাটিন দশম সংখ্যা ডিসেম-এর নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে।

আগেকার দিনে নিউ ইয়ারের আগের রাতকে বলা হতো নিউ ইয়ার ইভ। বর্তমানে যা থার্টিফার্স্ট নাইট হিসেবে প্রচলিত। খ্রিস্টের জন্মের পর ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা ক্রিসমাস ডে থেকে শুরু করে বছরের শেষদিন শেষে রাতের অর্ধপ্রহর পর্যন্ত নানান বিকৃত পন্থায় তাদের দেবতাদের পূজা-অর্চনা করতো। সাথে থাকতো ভোগ বিলাসের সকল আয়োজন (মদ্যপান থেকে শুরু করে সকল অনাচার)। সেসময় ইউরোপের প্রোটেস্টান ধর্মগুরুরা এ সংস্কৃতিকে প্যাগানীয় ও অ-খ্রিস্টানীয় আখ্যা দিয়ে বর্জন করার ঘোষণা দেন। ফলশ্রম্নতিতে ছড়িয়ে পড়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে প্রোটেস্টানরাও যোগ দেয় এ উৎসব পালনে। এদিকে ইংরেজি নতুনবর্ষ পালনে ব্যতিক্রমও রয়েছে। যেমন— ইসরায়েল রাষ্ট্রটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করলেও ইংরেজি নববর্ষ পালন করে না। কারণ বিভিন্ন ধমীর্য়গোষ্ঠী অ-ইহুদী উৎস হতে উৎপন্ন এই রীতি পালনের বিরোধিতা করে থাকে।

আবার কিছু দেশ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকে গ্রহণই করেনি। যেমন সৌদি আরব, নেপাল, ইরান, ইথিওপিয়া ও আফগানিস্তান। এসব দেশও ইংরেজি নববর্ষ পালন করে না। তবে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করে বেশ জাঁকজমকভাবে। পশ্চিমা বিশ্বের এ উৎসবকে বেশ কিছুকাল যাবৎ স্বাগত জানিয়েছে আমাদের দেশও। পহেলা বৈশাখকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালনের পাশাপাশি নানা আয়োজনে পালন করা হয় ইংরেজী নববর্ষও।

পরিশেষে বলা যায়— ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি বীরের জাতি হিসেবে অভিহিত হয়ে আসছে। যুগে যুগে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাতি কর্তৃক তাদের উপর চালানো জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে; এমনকি প্রয়োজনে অস্ত্র ধারণ করে বিজয়ী হয়েছে যা আমাদের সকলেরই জানা। যার সর্বশেষ প্রতিফলন আমরা দেখেছি ২০২৪-এর জুলাই বিপ্লবে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এ লড়াইয়ে বৈষম্যবিরোধী  ছাত্র-জনতা যে বীরত্ব দেখিয়েছে তা অনাদি-অনন্তকাল ধরে বাংলাদেশের আপামর জনগণের হৃদয়ে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের এই মহাবিজয় তখনই সত্যিকারার্থে অর্থবহ হবে যখন আমরা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে এই নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই সকল প্রকার স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে দেশের মানুষের স্বার্থে ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সকল বাঙালি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করবো। যদি আমরা এ কাজে পিছপা না হই তাহলে আমরাই হবো সারা বিশ্ববাসীর বিস্ময়। তারসাথে নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা— হিংসা-বিদ্বেষের পথ পরিহার করে হারানো গণতান্ত্রিক সহিষ্ণুতার পথে দেশ এগিয়ে যাবে বীরদর্পে।

যুগে যুগে বিভিন্ন উৎসব পালন নানান বিতর্কের জন্ম দিলেও উৎসব হোক সার্বজনীন; নতুন বছর সকলের জীবনে বয়ে আনুক সুখ, সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য ও অগ্রগতি। শুভ হোক আমাদের আগামী দিনগুলো। শুভ নববর্ষ-২০২৫ খ্রি.।

লেখক : কবি, প্রাবন্ধিক ও সহযোগী অধ্যাপক, শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ, শেরপুর

 

ট্যাগস: খ্রিস্টীয় নববর্ষখ্রিস্টীয় নববর্ষ-২০২৫নববর্ষনববর্ষ-২০২৫
আগের নিউজ

সুলতানার স্বপ্ন : দলগত প্রচেষ্টা স্বপ্নপূরণের পথ

পরের নিউজ

ইবি ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার ফোরামের নেতৃত্বে মামুন-প্রমি

Muldhara

Muldhara

পরের নিউজ
ইবি ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার ফোরামের নেতৃত্বে মামুন-প্রমি

ইবি ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার ফোরামের নেতৃত্বে মামুন-প্রমি

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • আলোচিত
  • কমেন্টস
  • সর্বশেষ
যশোরে দিনেদুপুরে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

যশোরে দিনেদুপুরে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
সিংগাইরে ‘মাটি ব্যবসায়ী’ চক্রের দৌরাত্ম্য

সিংগাইরে ‘মাটি ব্যবসায়ী’ চক্রের দৌরাত্ম্য

মে ২৩, ২০২৫
তরুণশক্তির নতুন রাজনৈতিক সূর্যোদয়

তরুণশক্তির নতুন রাজনৈতিক সূর্যোদয়

নভেম্বর ১২, ২০২৪
তথ্য সংকটে জর্জরিত ইবি ওয়েবসাইট

তথ্য সংকটে জর্জরিত ইবি ওয়েবসাইট

মার্চ ১৮, ২০২৫
ইতিহাস গড়তে ভোট দিচ্ছেন মার্কিনরা

ইতিহাস গড়তে ভোট দিচ্ছেন মার্কিনরা

0
পুলিশি অভিযানে গতি এসেছে

পুলিশি অভিযানে গতি এসেছে

0
জয়ের পথে ট্রাম্প!

জয়ের পথে ট্রাম্প!

0
জলবায়ু পরিবর্তন: ভবিষ্যৎ এবং করণীয়

জলবায়ু পরিবর্তন: ভবিষ্যৎ এবং করণীয়

0
ঈদ : মৈত্রির সমাজ গঠন করতে হবে

ঈদ : মৈত্রির সমাজ গঠন করতে হবে

জুন ৬, ২০২৫
নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা!

নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা!

জুন ৬, ২০২৫
নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

জুন ৫, ২০২৫
ভোটার হতে এসে দালালসহ রোহিঙ্গা আটক

ভোটার হতে এসে দালালসহ রোহিঙ্গা আটক

জুন ৩, ২০২৫

সাম্প্রতিক খবর

ঈদ : মৈত্রির সমাজ গঠন করতে হবে

ঈদ : মৈত্রির সমাজ গঠন করতে হবে

জুন ৬, ২০২৫
নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা!

নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা!

জুন ৬, ২০২৫
নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

জুন ৫, ২০২৫
ভোটার হতে এসে দালালসহ রোহিঙ্গা আটক

ভোটার হতে এসে দালালসহ রোহিঙ্গা আটক

জুন ৩, ২০২৫
Muldhara - Bangla Daily

Daily Muldhara - Reliable Source for News & Opinion.

আমাদের সাথে থাকুন

গুরুত্বপূর্ণ লিংকসমূহ

  • Uncategorized
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • উপসম্পাদকীয়
  • কৃষিজ
  • ক্রাইম
  • খেলাধুলা
  • জাতীয়
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • ধর্মকর্ম
  • পরিবেশ
  • পাঠকের অভিমত
  • প্রজন্মের চোখ
  • ফিচার
  • বাণিজ্য
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • মতামত
  • রাজনীতি
  • শিক্ষা
  • সংগঠন
  • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  • সম্পাদকীয়
  • সম্পাদকীয়
  • সর্বশেষ
  • সারাদেশ
  • সাহিত্য
  • সাহিত্যাঙ্গন
  • স্বাস্থ্য

ঠিকানা

H-G/44, Block-G, Road: E/1, Eastern Housing, 2nd Phase, Rupnagar, Dhaka-1216, Bangladesh.

© 2024 দৈনিক মূলধারা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

  • আমাদের সম্পর্কে
  • বিজ্ঞাপন
  • গোপনীয়তার নীতি
  • যোগাযোগ

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
কোন নিউজ পাওয়া যায়নি
সমস্ত নিউজ দেখুন
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্য খেলা
  • বিনোদন
  • জবস
  • বাণিজ্য
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • শিক্ষা
    • স্বাস্থ্য

© 2024 দৈনিক মূলধারা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত