মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চল থেকে একটি রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। সুতালড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইউসুফ বেপারী সাপ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রবিবার (৬ জুলাই ) সকালে পদ্মার ওপারের সুতালড়ি ইউনিয়নের বালিয়াঘোপা গ্রাম সংলগ্ন পদ্মা নদীতে এক জেলের পাতা চায়না দোয়াড়ি জালে আটকা পড়ে সাপটি।
জানা যায়, জেলের জালে আটকা পড়া রাসেলস ভাইপার সাপটি সুতালড়ি ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর সোহেল বিশ্বাস চরাঞ্চল থেকে পদ্মাপাড়ের আন্ধারমানিক ট্রলারঘাটে নিয়ে আসেন। পরে স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ডিপ ইকোলজি ও স্নেক কনসারভেসন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দা অনন্যা ফারিয়াসহ কয়েকজন বিকেলে সাপটি উদ্ধার করতে আসেন। এসময় সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া বলেন, বন বিভাগের সাথে কথা বলে সাপটির বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শামিম মিয়া বলেন, রাসেল ভাইপারের বিষ হেমোটক্সিন, যার কারণে কামড় দিলে মানুষের মাংস পচে যায়। রাসেল ভাইপার সাপ কয়েক বছর আগে শুধু বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে দেখা গেছে। তবে বর্তমানে এরা পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলা ও চরগুলোতেও বিস্তার লাভ করেছে। সাপটির কবল থেকে বাঁচতে সচেতনতাই সবচেয়ে কার্যকর পন্থা। রাসেলস ভাইপারের প্রজনন সম্পর্কে তিনি বলেন,অন্যান্য সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে রাসেল ভাইপার সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে, কিছু রাসেলস ভাইপার সাপের ৭৫টি পর্যন্ত বাচ্চা জন্ম দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে।পৃথিবীতে প্রতিবছর যত মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়, তার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ এই রাসেল ভাইপারের কামড়ে মারা যায়।
বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রানী ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র বিশ্বাস বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেনম সেন্টারে গবেষণাগারে উদ্ধারকৃত রাসেল ভাইপারটি নেওয়া হবে।