বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসন এবং ৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা,’ ‘কোটার নামে অবিচার, মানি না মানব না,’ স্লোগান দেন।
সমাবেশে বক্তারা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসনে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাযন। এছাড়া তারা ৩ দফা দাবি তুলে ধরেন।
এক. ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামেও সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। দুই. টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীকে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে। তিন. ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না, এই মর্মে আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
এ সময় ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাহাত রেজা বলেন, আমরা ’২৪-এর বাংলায় মাঠে থেকেছি, আন্দোলন করেছি এবং রক্ত দিয়েছি কোটা প্রথা বাতিলের জন্য। এখন সেই কোটাই চলে এসেছে। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই। আর আমাদের উত্থাপিত এই ৩ দফা দাবি সরকারকে মেনে নিতে হবে।’
আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন সৈকত বলেন, ‘আমরা এই নতুন বাংলাদেশে কোনো কোটার অবস্থান দেখতে চাই না। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার আর এমবিবিএস ছাড়া নামের আগে ডাক্তার লাগানো একই কথা। আমাদের যারা প্রকৌশলী তাঁদের চাকরি ক্ষেত্রের কিছু সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে বাংলাদেশ প্রকৌশলীদের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।’